খণ্ডন-ভব-বন্ধন বা শ্রীরামকৃষ্ণ-আরাত্রিক ভজন হল হিন্দু সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের লেখা একটি বাংলা গান।এই গানটি ঊনবিংশ শতাব্দীর হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের উদ্দেশ্যে রচিত। গানটির রচনাকাল ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দ।এটি মিশ্রকল্যাণ রাগ ও তালফেরতায় (চৌতাল, তিনতাল ও একতাল) রচিত একটি ভক্তিগীতি।
এই গানটিতে বিবেকানন্দ জাগতিক বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করার, এবং যাঁরা নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছেন তাঁদের বিশ্বব্যাপী মুক্তি-চেতনা ছড়িয়ে দেবার ও বন্ধন ও দুঃখ থেকে মানুষকে মুক্ত হতে অনুপ্রেরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবেকানন্দ ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য। রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিক্ষা প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি হিন্দু সংস্কার আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে পরিণত হয়েছিল। বিবেকানন্দ ছিলেন পাশ্চাত্যে বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রথম ও অন্যতম প্রধান প্রচারক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ পর্যটন করে এই দুই দর্শন প্রচার করেছিলেন। ১৮৯৮ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য নীলাম্বর বসুর বাড়িতে তিনি রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এই বাড়িতে অবস্থানকালেই তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সব মন্দিরেই দৈনিক পূজার্চনার পর সন্ধ্যারতির সময় এই গানটি গাওয়া হয়৷
এই গানে বিবেকানন্দ দুঃখ ও জাগতিক বন্ধন থেকে ব্যক্তির মুক্তির কথা লিখেছেন। তিনি নিজেও তাঁর আধ্যাত্মিক জীবন এই কাজে অতিবাহিত খণ্ডন-ভব-বন্ধন বা শ্রীরামকৃষ্ণ-আরাত্রিক ভজন হল হিন্দু সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের লেখা একটি বাংলা গান।এই গানটি ঊনবিংশ শতাব্দীর হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের উদ্দেশ্যে রচিত।গানটির রচনাকাল ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দ। এটি মিশ্রকল্যাণ রাগ ও তালফেরতায় (চৌতাল, তিনতাল ও একতাল) রচিত একটি ভক্তিগীতি।
এই গানটিতে বিবেকানন্দ জাগতিক বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করার, এবং যাঁরা নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছেন তাঁদের বিশ্বব্যাপী মুক্তি-চেতনা ছড়িয়ে দেবার ও বন্ধন ও দুঃখ থেকে মানুষকে মুক্ত হতে অনুপ্রেরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ৷
এই স্তোত্রে বিবেকানন্দ তাঁর গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসকে সম্বোধন করে বন্দনা করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর গুরু এমনই এক নিষ্কলুষ চরিত্র যিনি জগতের সকল বন্ধন খণ্ডন করতে সমক্ষ; তিনি মানুষের রূপধারী দিব্য জ্ঞানের প্রতিনিধি। গুরুর চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি অনুভব করেছেন, তাঁর চোখদুটি ঐশ্বরিক জ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত এবং মায়াখণ্ডনকারী। মানুষকে মুক্ত করতে তিনি নিজে এই মানবদেহে বন্দী হয়ে এসেছেন। তাই তিনি তাঁর গুরুকে পুনরায় বন্দনা করেছেন। শেষে তিনি তাঁর গুরুকে "জ্যোতির জ্যোতি" বলে উল্লেখ করে তাঁর হৃদয়ের অন্ধকার ও অজ্ঞান দূর করার জন্য গুরুর কাছে প্রার্থনা করেছেন।
No comments:
Post a Comment