বেলা আন্দাজ দশটা ৷ ভক্তশ্রেষ্ঠ নাগ মহাশয় আসিয়াছেন - শ্রীমার দর্শনে ৷ তাঁহাকে দেখিয়া শ্রীমাকে সংবাদ দিলে তিনি প্রসাদ হাতে ভক্তের জন্য সিঁড়ির নিকট পর্যন্ত অগ্রসর হইয়া আসিয়া অপেক্ষা করিতে থাকেন ৷ এদিকে নাগ মহাশয় শ্রীমার বাটীর সদর দরজা হইতে '' মহামায়ী, মহামায়ী '' শব্দ করিতে করিতে সাষ্টাঙ্গে অগ্রসর হইতে থাকিলেন - সমস্ত সিঁড়িটিও সেই ভাবে উঠিলেন ৷ উপরে পৌঁছিলে শ্রীমা '' এস বাবা, এস'' বলিলে তিনি ''মহামায়ী, মহামায়ী'' বলিয়া মাথা খুঁড়িয়া প্রণাম করিলেন ৷ শ্রীমা ছাদের সিঁড়ির প্রথম ধাপটিতে বসিয়া তাঁহাকে উঠিতে বলিলে তিনি নতজানু হইলেন - সর্বাঙ্গ কাঁপিতেছে, নয়নদ্বয় হইতে ধারার পর ধারা নির্গত হইয়া গণ্ডযুগল বহিয়া পরিতেছে ৷ শ্রীমা বলিলেন : '' এস, ঠাকুরের প্রসাদ পাও ৷'' তিনি বলিলেন : ''মহামায়ীর প্রসাদ !'' শ্রীমা নিজের জিহ্বায় একটুকু ঠেকাইয়া প্রসাদ করিয়া দিলে তিনি মুখ খুলিলেন ৷ শ্রীমা তাঁহাকে একটু একটু করিয়া খাওয়াইতে থাকিলেন আর তিনি বালকের ন্যায় খাইতে লাগিলেন ৷ গণ্ডদ্বয় প্লাবিত হইতে থাকিল ৷ প্রসাদ খাওয়াইয়া শ্রীমা জল এক এক ঢোক করিয়া মুখে দিতে থাকিলেন আর তিনি খাইতে থাকিলেন ৷ এইপ্রকারে প্রসাদ খাওয়াইবার পর শ্রীমা হাত ধুইয়া আসিয়া দক্ষিণ হস্ত তাঁহার মস্তকে স্পর্শ করাইয়া আশীর্বাদ করিলে তিনি ''মহামায়ী, মহামায়ী'' কহিতে কহিতে বরাবর পাছু হটিয়া অবতরণ করিলেন ৷ আর শ্রীমা যতক্ষণ তাঁহাকে দেখা যায়, ততক্ষণ অনিমেষনয়নে দেখিতে লাগিলেন ৷ -- এ এক অপার্থিব দৃশ্য!
Tuesday, 17 May 2016
শ্রীমা সারদা আর সাধু নাগ মহাশয়
বেলা আন্দাজ দশটা ৷ ভক্তশ্রেষ্ঠ নাগ মহাশয় আসিয়াছেন - শ্রীমার দর্শনে ৷ তাঁহাকে দেখিয়া শ্রীমাকে সংবাদ দিলে তিনি প্রসাদ হাতে ভক্তের জন্য সিঁড়ির নিকট পর্যন্ত অগ্রসর হইয়া আসিয়া অপেক্ষা করিতে থাকেন ৷ এদিকে নাগ মহাশয় শ্রীমার বাটীর সদর দরজা হইতে '' মহামায়ী, মহামায়ী '' শব্দ করিতে করিতে সাষ্টাঙ্গে অগ্রসর হইতে থাকিলেন - সমস্ত সিঁড়িটিও সেই ভাবে উঠিলেন ৷ উপরে পৌঁছিলে শ্রীমা '' এস বাবা, এস'' বলিলে তিনি ''মহামায়ী, মহামায়ী'' বলিয়া মাথা খুঁড়িয়া প্রণাম করিলেন ৷ শ্রীমা ছাদের সিঁড়ির প্রথম ধাপটিতে বসিয়া তাঁহাকে উঠিতে বলিলে তিনি নতজানু হইলেন - সর্বাঙ্গ কাঁপিতেছে, নয়নদ্বয় হইতে ধারার পর ধারা নির্গত হইয়া গণ্ডযুগল বহিয়া পরিতেছে ৷ শ্রীমা বলিলেন : '' এস, ঠাকুরের প্রসাদ পাও ৷'' তিনি বলিলেন : ''মহামায়ীর প্রসাদ !'' শ্রীমা নিজের জিহ্বায় একটুকু ঠেকাইয়া প্রসাদ করিয়া দিলে তিনি মুখ খুলিলেন ৷ শ্রীমা তাঁহাকে একটু একটু করিয়া খাওয়াইতে থাকিলেন আর তিনি বালকের ন্যায় খাইতে লাগিলেন ৷ গণ্ডদ্বয় প্লাবিত হইতে থাকিল ৷ প্রসাদ খাওয়াইয়া শ্রীমা জল এক এক ঢোক করিয়া মুখে দিতে থাকিলেন আর তিনি খাইতে থাকিলেন ৷ এইপ্রকারে প্রসাদ খাওয়াইবার পর শ্রীমা হাত ধুইয়া আসিয়া দক্ষিণ হস্ত তাঁহার মস্তকে স্পর্শ করাইয়া আশীর্বাদ করিলে তিনি ''মহামায়ী, মহামায়ী'' কহিতে কহিতে বরাবর পাছু হটিয়া অবতরণ করিলেন ৷ আর শ্রীমা যতক্ষণ তাঁহাকে দেখা যায়, ততক্ষণ অনিমেষনয়নে দেখিতে লাগিলেন ৷ -- এ এক অপার্থিব দৃশ্য!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment