অমৃত-সাগরে যাবার অনন্ত পথ। যে কোন প্রকারে হউক
এ সাগরে পড়তে পারলেই হ’ল। মনে কর অমৃতের একটি কুণ্ড আছে। কোন রকমে এই অমৃত একটু
মুখে পড়লেই অমর হবে; -- তা তুমি নিজে ঝাঁপ দিয়েই পড়, বা সিঁড়িতে আস্তে আস্তে
নেমে একটু খাও, বা কেউ তোমায় ধাক্কা মেরে ফেলেই দিক। একই ফল। একটু অমৃতের আস্বাদন করলেই অমর হবে।
তাঁর শরণাগত হও, তিনি সদ্ বুদ্ধি দেবেন। তিনি সব ভার নেবেন। তখন সব রকম বিচার
ডূরে যাবে। এ বুদ্ধি দিয়ে কি তাঁকে বুঝঅ যায়? এক সের ঘটিতে কি চার সের
দুধ ধরে? আর তিনি না বুঝালে কি বুঝা যায়? তাই বলছি – তাঁর শরণাগত হও
– তাঁর যা ইচ্ছা তিনি করুন। তিনি ইচ্ছাময়। মানুষের কি শক্তি আছে?
ঈশ্বর সৎ আর সব অসৎ এই
বিচার। সৎ মানে নিত্য। অসৎ অনিত্য। যার বিবেক হয়েছে, সে জানে ঈশ্বরই বস্তু আর
সব অবস্তু। বিবেক উদয় হলে ঈশ্বরকে জানবার ইচ্ছা হয়। অসৎকে ভালবাসলে
যেমন দেহসুখ, লোকমান্য, টাকা এইসব ভালবাসলে – ঈশ্বর, যিনি সৎস্বরূপ; তাঁকে জানতে ইচ্ছা হয় না। সদসৎ বিচার এলে তবে
ঈশ্বরকে খুঁজতে ইচ্ছা করে।
No comments:
Post a Comment